❌ ফিলিস্তিনের জন্য বয়কট করুন: যেসব পণ্য ও ব্র্যান্ড এড়িয়ে চলা উচিত

ফিলিস্তিনে গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করাই যথেষ্ট নয়। কার্যকর প্রতিবাদের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হলো বয়কট (Boycott)। যারা ইসরায়েলের অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে বা সেই দখলদারিত্বের অর্থনৈতিকভাবে উপকার পাচ্ছে—তাদের পণ্য ব্যবহার না করাই একপ্রকার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ।

🎯 কেন বয়কট গুরুত্বপূর্ণ?

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের জমি দখল করে বসতি গড়ে তুলছে, শিশু ও সাধারণ মানুষের উপর সহিংসতা চালাচ্ছে, এবং মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য বর্জন করে আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাতে পারি—আমরা অন্যায়ে অংশীদার নই।

🛑 যেসব পণ্য ও কোম্পানি বর্জন করা উচিত

🥤 খাদ্য ও পানীয়:

  • Coca-Cola – ইসরায়েলের সাথে দীর্ঘ ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং ইসরায়েলি অংশীদারিত্ব রয়েছে।
  • PepsiCo (সহ: Lays, Doritos, Tropicana) – ইসরায়েলি কোম্পানি SodaStream কিনে নিয়েছে।
  • Nestlé – ইসরায়েলের ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বিনিয়োগ আছে।
  • McDonald’s – ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সমর্থন জানিয়েছে।
  • Starbucks – পূর্বের CEO হাওয়ার্ড শুল্টজ ইসরায়েলকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন।

💄 সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য পণ্য:

  • Ahava – ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চলে ডেড সি-র পণ্য উৎপাদন করে।
  • L’Oréal – ইসরায়েল সরকারের সাথে বহু বছরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক।

🏠 গৃহস্থালি ও প্রযুক্তি পণ্য:

  • SodaStream – অবৈধ বসতিতে কারখানা চালিয়েছে।
  • HP (Hewlett-Packard) – ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের প্রযুক্তি সরবরাহকারী।
  • Puma – ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের স্পনসর, যারা অবৈধ বসতির দলকেও অন্তর্ভুক্ত করে।

🏦 আর্থিক প্রতিষ্ঠান:

  • AXA Insurance – ইসরায়েলি অস্ত্র কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ।
  • Airbnb – অবৈধ বসতির প্রপার্টি তালিকাভুক্ত করেছে।

আপনি কী করতে পারেন?

  • এই কোম্পানিগুলোর পণ্য কেনা বন্ধ করুন।
  • বিকল্প ও স্থানীয় ব্র্যান্ড বেছে নিন।
  • বন্ধু-বান্ধবকে জানাতে শেয়ার করুন।

📢 শেষ কথা

ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো মানে কেবল সহানুভূতির কথা বলা নয়—এর মানে হল দৈনন্দিন জীবনে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়া। প্রতিটি কেনাকাটাই একটি ভোট। আপনি ঠিক করবেন, সেই ভোটটা মানবতার পক্ষে যাবে, না অন্যায়ের পক্ষে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.