Your cart is currently empty!

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ১০টি ভয়াবহ বাস্তবতা, যা আপনার সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে

১. আপনি পথে নামার আগেই ঋণের পাহাড়ে চাপা পড়তে পারেন
আমেরিকার জীবনটা সিনেমার মতো নয়। বাসা ভাড়া, খাবার, যাতায়াত—সবকিছুই ভয়ানক ব্যয়বহুল। ভালো চাকরি পেলেও পুরো বেতনটা শুধু বেঁচে থাকার জন্য খরচ হয়ে যাবে। আর যদি কোনোভাবে অসুস্থ হন, চিকিৎসার খরচ আপনাকে আজীবনের জন্য ঋণগ্রস্ত করে দিতে পারে—even ইনস্যুরেন্স থাকলেও।
২. আপনি অপরাধী হিসেবে দেখা পেতে পারেন—শুধু বিদেশি হওয়ায়
বিদেশিদের প্রতি সন্দেহ, বর্ণবৈষম্য, এবং ঘৃণার আচরণ এখনো বাস্তব। আপনার ত্বকের রঙ, আপনার উচ্চারণ, বা আপনার নাম—সবকিছুই কাউকে আপনাকে সন্দেহ করতে বাধ্য করতে পারে। এয়ারপোর্টে, রাস্তায়, কিংবা অফিসে—আপনি সব সময় নজরে থাকতে পারেন।
৩. আপনি হয়তো একাকীত্বে হারিয়ে যাবেন
আমেরিকার সমাজ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কেউ কারও খোঁজ রাখে না। বাংলাদেশে যেমন পাড়া-প্রতিবেশি বা আত্মীয়স্বজন পাশে থাকে, সেখানে আপনি একা। যদি আপনি অসুস্থ হন, চাকরি হারান, বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন—সাহায্যের কেউ থাকতেও পারে না।
৪. বন্দুকহামলা এখানে নিত্যদিনের ঘটনা
স্কুল, শপিং মল, অফিস, এমনকি উপাসনালয়—যেকোনো জায়গায় গুলির ঘটনা ঘটতে পারে। সাধারণ মানুষ ঘরে ঘরে বন্দুক রাখে। সরকারের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। আপনি কেবল ভুল সময়, ভুল জায়গায় থাকলেই বিপদের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন।
৫. আপনি দিনরাত খেটে মরবেন—তবুও শান্তিতে থাকতে পারবেন না
“আমেরিকান ড্রিম” আজ অনেকের কাছে একটি মিথ। অনেকেই দিনের পর দিন দুই বা তিনটি চাকরি করেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাস শেষে টাকা থাকে না। ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকবে না—শুধু কাজ আর ক্লান্তি।
৬. একটি ছোট ভুলেই আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে
ভিসার নিয়ম-কানুন জটিল ও কঠোর। একটি ভুল কাগজ, সময়মতো আবেদন না করা, কিংবা কারও ভুল অভিযোগেই আপনাকে আটক বা ডিপোর্ট করা হতে পারে। কখনো কখনো ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটিমাত্র সিদ্ধান্তেই আপনার জীবনের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
৭. চিকিৎসা আপনার সর্বস্ব কেড়ে নিতে পারে
বাংলাদেশে সামান্য খরচে চিকিৎসা পাওয়া যায়। কিন্তু আমেরিকায় ডাক্তার দেখানোর খরচই হতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার। এম্বুলেন্সে উঠলেই আপনি হয়তো ৮০,০০০ টাকা সমপরিমাণ বিল পাবেন। ইনস্যুরেন্স ছাড়া চিকিৎসা এক রকম অসম্ভব।
৮. আপনি হয়তো কখনোই “আপন” মনে করতে পারবেন না
বছরের পর বছর থাকার পরও অনেক প্রবাসী মনে করেন, তারা আমেরিকায় “বহিরাগত”। সমাজ আপনাকে সহজে গ্রহণ করে না। আপনি হয়তো সবসময়ই অনুভব করবেন—আপনি এখানে মানানসই নন।
৯. নিরাপত্তা এখানে ভাগ্যের বিষয়, অধিকার নয়
গান ভায়োলেন্স ছাড়াও, অনেক শহরে গৃহহীনতা, মানসিক রোগ, এবং অপরাধ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে আছে। রাতে একা বাইরে চলাফেরা অনেক জায়গায় বিপজ্জনক। এমনকি পুলিশ ডেকে অনেক সময় উল্টো ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনাও থাকে—বিশেষ করে আপনি যদি বিদেশি হন।
১০. আপনার দেশ আপনাকে অনেক বেশি প্রয়োজন—আমেরিকার চেয়ে
বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগোচ্ছে। আপনার দক্ষতা, শ্রম ও স্বপ্ন এখানকার সমাজকে গড়তে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু আমেরিকায়? আপনি কেবল আরেকজন নামহীন শ্রমিক, যাকে কেউ চেনেও না, মূল্যায়নও করে না। কেন আপনি আপনার সোনালী সময় এমন একটি দেশে দেবেন, যারা আপনার অস্তিত্বকেই মূল্যায়ন করে না?
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন—এই ঝুঁকি কি আপনি নিতে চান?
কারণ “ভালো জীবনের” মূল্য অনেক সময় এমন কিছু হয়ে দাঁড়ায়, যা আপনি কল্পনাও করেননি।
অবশ্যই! নিচে দেওয়া হলো ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসে ইউএস ভিসা আবেদন প্রত্যাহার করার নির্দেশনা — বাংলায় সঠিক ও পরিষ্কারভাবে লেখা:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদন কীভাবে প্রত্যাহার করবেন – ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাস
যদি আপনি আমেরিকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থাকেন এবং আপনার ভিসা আবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
✅ ধাপে ধাপে নির্দেশনা
🔹 ১. একটি অনুরোধপত্র ইমেইলের মাধ্যমে প্রস্তুত করুন
আপনার ভিসা আবেদন প্রত্যাহারের জন্য একটি ভদ্র ও সরাসরি ইমেইল লিখুন।
ইমেইলে অবশ্যই নিচের তথ্যগুলো উল্লেখ করুন:
- আপনার পূর্ণ নাম (পাসপোর্ট অনুযায়ী)
- পাসপোর্ট নম্বর
- DS-160 কনফারমেশন নম্বর
- ভিসার ধরন (যেমন: B1/B2, F1, K1 ইত্যাদি)
- নির্ধারিত সাক্ষাৎকারের তারিখ (যদি থাকে)
- একটি স্পষ্ট বক্তব্য:
“আমি আমার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করতে চাই এবং অনুরোধ করছি যাতে আর কোনো প্রক্রিয়া পরিচালিত না হয়।”
ঐচ্ছিকভাবে, আপনি কারণও উল্লেখ করতে পারেন:
“ব্যক্তিগত কারণবশত আমি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছি এবং ভিসা প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক নই।”
🔹 ২. ইমেইল পাঠানোর ঠিকানা
আপনার ইমেইলটি নিচের যেকোনো একটি অফিসিয়াল ঠিকানায় পাঠান:
📧 মূল ঠিকানা: [email protected]
বা
📧 নন-ইমিগ্রান্ট ভিসার জন্য: [email protected]
সাবজেক্ট লাইন দিন:
Request to Withdraw Visa Application – [আপনার নাম]
🔹 ৩. যদি সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারিত থাকে
তাহলে আপনাকে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টও বাতিল করতে হবে:
- এই ওয়েবসাইটে লগইন করুন: https://www.ustraveldocs.com/bd
- আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করুন
- ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার নির্ধারিত সাক্ষাৎকারটি বাতিল করুন
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ
- আপনি আবেদন প্রত্যাহার করলেও ভিসা ফি ফেরতযোগ্য নয়
- ভবিষ্যতে আবার আবেদন করতে চাইলে নতুন DS-160 ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন
- সত্য ও যথাযথ তথ্য দিয়ে আবেদন প্রত্যাহার করলে আপনার ভবিষ্যৎ ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনার উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না
Leave a Reply